মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে মরদেহবাহী হেলিকপ্টার রংপুর সেনানিবাসে পৌঁছায়।
মরদেহবাহী হেলিকপ্টার রংপুর সেনানিবাসে অবতরণ করার পর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে করে এরশাদের মরদেহ রংপুর কেন্দ্রীয় ইদগাহ মাঠে নিয়ে যাওয়া হবে।
পরে এরশাদের মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে ফের ঢাকায় আনা হবে। বাদ-আসর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
এদিকে, এরশাদের অছিয়তকৃত পল্লীনিবাসে প্রস্তুতকৃত কবরে তাকে দাফন করা হবে বলে দাবি করছেন রংপুরের জাপা নেতারা।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহবাহী কফিন নিয়ে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার রংপুরে পৌঁছেছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০ দিকে রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর থেকে এরশাদের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার রংপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
এরশাদের মরদেহবাহী কফিনের সঙ্গে যান তার ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
গত রোববার (১৪ জুলাই) সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে রক্তে সংক্রমণসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। রোববার বাদ-জোহর সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এসএমএকে/আরআইএস/