ঢাকা: অমর একুশে বইমেলায় এসেছে ডেইলি সান পত্রিকার সম্পাদক আমির হোসেনের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুটি উপন্যাস।
বৃহস্পতিবার ভ্যালেন্টাইনে এসেছে তার সর্বশেষ উপন্যাস ‘যুদ্ধ ও প্রেম ১৯৭১’।
‘যুদ্ধ ও প্রেম ১৯৭১’ এক মুক্তিযোদ্ধা এবং পাকিস্তানী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিতা এক তরুণীর দেশপ্রেম, ভালোবাসা, আশা এবং আশাভঙ্গের বেদনার উপাখ্যান।
এই উপাখ্যানের নায়ক কবীর স্বাধীনতার পর তার নিরুদ্দিষ্টা প্রেমিকাকে ফিরে পেয়ে সুখের নীড় রচনার স্বপ্ন দেখলেও অনীহা প্রকাশ করে নায়িকা রীনা। তার প্রশ্ন, ঐশ্বর্য চাইনি, রাজরানীও হতে চাইনি। চেয়েছিলাম ভালোবাসতে, ভালোবাসা পেতে। চেয়েছিলাম স্বামী-সন্তানের স্নেহ মমতায় ঘেরা একটি ছোট্ট সুখের নীড়। তুমি আছো, আমি আছি। তবু সে স্বপ্ন আমার ভেঙে তছনছ হয়ে গেলো কেন?
এই প্রশ্নকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে ‘যুদ্ধ ও প্রেম ১৯৭১’ এর কাহিনী।
‘সূর্যতোরণ’ উপন্যাসটির কাহিনী গড়ে উঠেছে ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধকে ভিত্তি করে।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেমে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন এই কাহিনীর নায়ক, তখনকার মেডিকেলের ছাত্র হাসান। আর তিনি জীবন দিলেন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী এক মেজরের গুলিতে।
হাসান ভালবাসতেন রুবিনাকে। কিন্তু তিনি যখন জেলে তখন রুবিনার বিয়ে হয়ে যায় এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর। মুক্তিযুদ্ধের সময় ডা. হাসান আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও নানাভাবে সাহায্য করেন। তখন সেই রুবিনা পাকা গৃহিণী মিসেস চৌধুরী। কিন্তু তার মনে শান্তি নেই স্বামী ও পুত্রের আদর্শগত দ্বন্দ্বের কারণে। স্বামী পাকিস্তানী বাহিনীর দালাল আর পুত্র মুক্তিযোদ্ধা।
প্রায় বিশ বছর পরে এক দুর্বিপাকের রাতে হাসান ও রুবিনার দেখা হয় নাটকীয়ভাবে। সেটা ছিল রুবিনার এবং তার স্বামীর জীবনের শেষ রাত। ডা. হাসানেরও তাই। তবে রুবিনার সন্তানের সামনে ছিল নতুন সূর্যের পূর্বাভাস।
বইটিতে এসেছে ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের অনেক প্রসঙ্গ। সেই সঙ্গে সমকালীন নানা চিত্র।
উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে অ্যাডর্ন পাবলিকেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর