বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘণ্টাটির নাম টেজার বেল। এটি রয়েছে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ক্রেমলিনে।
ঘণ্টাটির উচ্চতা ৬.১৪ মিটার এবং ওজন ২ লাখ ১ হাজার ৯২৪ কিলোগ্রাম। মানে ২০০ টনেরও বেশি।
১৭৩০ সালে সম্রাজ্ঞী আন্না আইয়োয়ানোভনার সময়কালে ইভান এবং মিখাইল মটোরিন ঘণ্টাটি তৈরি করেন। তবে এই ঘণ্টা বাজে না । নির্মাণের সময়ই তা ভেঙে গেছে। এটি কাঠের তৈরি। ১৭৩৭ সালে ক্রেমলিনে এক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তখন এ ঘণ্টটিতেও আগুন লাগে। তখন এর ওপর প্রচুর পানি ঢালার কারণে বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরে ও কিছু অংশ খুলে পড়ে যায়।
এর ঠিক এক শতাব্দী পর এটি খুলে ফেলা হয় এবং পাথরের স্তম্ভমূলে স্থাপন করা হয়। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার এই যে, যদি এই ঘণ্টা বাজানো যেত তাহলে এর ঘণ্টাধ্বনি শোনা যেত ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও।
পৃথিবীর আরও কিছু বিখ্যাত ঘণ্টা
দ্য গ্রেট সুনকেন বেল: ১৪৮০ সালে মায়ানমারের রাজা ধাম্মাজেদির সময়কালে এই ঘণ্টাটি তৈরি হয়। ঘণ্টাটি তৈরিতে ২৯৩.৪ মেট্রিকটন কপার, স্বর্ণ, রূপা ও টিন ব্যবহার করা হয়। এটি তৈরি করতে সময় লাগে ৪ বছর। ঘণ্টাটিকে রাখা হয় সুয়েডেগন প্যাগোডাতে।
দ্য গ্রেট মিঙ্গাম বেল নামে আরেকটি ঘণ্টা ১৮০৮ সালে মায়ানমারের রাজা বোদাওপায়া নির্মাণ করেন। এর উচ্চতা ১৩ ফুট ও ওজন ছিল ৯০.৫৫ মেট্রিকটন।
বিগ বেন: এটি লন্ডনের বিখ্যাত ঘণ্টা। পৃথিবীর বড় পাঁচটি ঘণ্টার মধ্যে একটি।
দ্য মিলিনিয়াম পিস বেল: নিউপোর্টে অবস্থিত বিশাল এই ঘণ্টাটির ওজন ৩৩ টন। প্যাকারড বেল কোম্পানি এটি ভার্দিন বেল কোম্পানির জন্য তৈরি করে।
অ্যাকেলিন, বেলজিয়াম ক্যারিলন: এই শহরটি ৪৬ ধরনের ঘণ্টা ব্যবহারের জন্য বিখ্যাত।
বেল অব বেইজিং: বিখাত এই বেল ১৪১৫ সালে চীনে তৈরি হয়। এর ওজন ৬০ টন।
মিলেনিয়াম বেল: এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝুলন্ত ঘণ্টা। এর ওজন ৩৩ টন।
বক টাওয়ার গার্ডেন: ফ্লোরিডার লেক ওয়ালে পৃথিবীর সুন্দরতম ক্যারিলনের ৬০টি ঘণ্টা আছে।
বিলিভ ইট অর নট
দেইবাস্তো টেম্পেল বেল, জাপান: জাপানের সবচেয়ে বড় এই ঘণ্টাটি বাজানোর জন্য ১৬ জন লোকের প্রয়োজন হয়।
তা চাং: এটি চীনের সবচেয়ে বড় ঘণ্টা। এতে ১৬০০০০ চেয়েও বেশি শব্দ খোদাই করা আছে।
সিজার কোলোকল: রাশিয়ার এই ঘণ্টাটির ওজন ৫০টি হাতির সমান।
পল রেভিয়ার: আমেরিকার বিখ্যাত ঘণ্টা নির্মাণকারী।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি- ichchheghuri@banglanews24.com