কেমন লাগবে যদি পানির নিচে ডাইভ করতে করতে চারপাশে রঙিন মাছের ঝাঁক, গাছপালা দেখতে পাও, ঘুরে বেড়াতে পারো বেঞ্চের উপরে নিচে? অবাক হবে নিশ্চয়ই? ভাববে, একী! পানির নিচে আবার গাছপালা ঘেরা পার্ক এলো কোথা থেকে?
ব্যাপারটা অসম্ভব মনে হচ্ছে? আসলে কিন্তু এটা সত্যি। যেখানকার কথা বলছি, সেই পার্কটার নাম গ্রিন পার্ক।
গ্রিন পার্কের লেকের নিচেই এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। চারদিক থেকে হকস্কোয়াব পাহাড় এবং জঙ্গলে ঘেরা এই পার্ক। হ্রদটার নাম সবুজ হ্রদ বা গ্রিন লেক হওয়ার কারণ এর পানি দেখতে সবুজ মনে হয়। আসলে এই হ্রদের পানি একদম স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার।
পাহাড়ের গলে যাওয়া তুষার থেকে এই স্বচ্ছ পানি আসে। পানির তাপমাত্রা থাকে ৬-৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ট্রাগওয়েসের এই জায়গাটি কিন্তু ভারী মজার। শীতকালে এটা হয় উদ্যান, আর গ্রীষ্মকালে হয় হ্রদ। যখন উদ্যান হয়, তখন বলা হয় ‘গ্রিন পার্ক’। আর যখন হ্রদ হয়, তখন বলা হয় ‘গ্রিন লেক’।
শীতকালে হ্রদের পানি একদমই কমে যায়। পানির গভীরতা থাকে ১-২ মিটার। তখন এর আশেপাশের এলাকা পার্ক বা উদ্যান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু বসন্ত এবং গ্রীষ্মে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পাহাড় থেকে বরফ গলে হ্রদের পানির গভীরতা বাড়িয়ে দেয়। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন পর্যন্ত পানি থাকে সবচেয়ে গভীর। তখন পানি ১২মিটার পর্যন্ত গভীর হয়। পাহাড় থেকে নেমে আসা বরফ গলা পানি উদ্যানটাকেই ডুবিয়ে দেয়। সে সময় পুরো উদ্যানটাই পানিতে থইথই করতে থাকে। তখন গ্রিন লেকটাকে দেখায় একদম সবুজ।
হ্রদের পানির নিচে সবুজ ঘাস এবং গাছের পাতার সবুজ রঙের কারণেই পানির রং সবুজ মনে হয়। আর এই সময়টাতে হ্রদের নিচে ডাইভ করতে গেলেই দেখা যায় পানির নিচে উদ্যানের অভূতপূর্ব দৃশ্য।
গ্রীষ্মকালে তাই ডাইভাররা গ্রিন লেকে ডাইভ করে মনের সুখে। জলের তলে উদ্যানের দৃশ্য ডাইভিং- এর আনন্দে যোগ করে নতুন মাত্রা। আর যারা এই সময়ে গ্রিন লেকে ডাইভিং করা মিস করে তাদের আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৩
এএ/জেসিকে