সন্তানকে খুশি ও বিস্ময় জাগাতে বাবা রেফি ও মা সুসান বাড়িতে একটি ডাইনোসর রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের বাড়িতে সন্তানদের উৎসাহ যোগানো ও মনোরঞ্জন করাও তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।
সেই অনুযায়ী তারা পুরো বাড়িজুড়ে ডাইনোসর রাজ্যের আবহাওয়া তৈরি করলেন। ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তাতে ৭৫ হাজার লাইক পড়লো।
সন্তানদের তারা এটা বোঝাতে সক্ষম হলেন যে, তারা যখন ঘুমিয়ে ছিল এই ডাইনোসররা জীবন্ত হয়েছিল এবং ঘরের দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে তার নিদর্শন রয়েছে।
এই দম্পতিকে এমন আবহাওয়া তৈরি করতে হয় যে, রাতে ডাইনোসর এসে তাদের টয়লেটে ঢুকে টিস্যুর রোল খুলেছে, রান্নাঘরে ঢুকে ডিম ভেঙেছে এবং খেয়েছে।
এখানে দেখা যাচ্ছে ডাইনোসরা রান্না-বান্নার চেষ্টা করছে। কিন্তু ফলাফল যা হলো তাকে বিপযর্য় ছাড়া আর কিছু বলা যাচ্ছে না।
রেফি পেশায় একজন লেখক। তিনি ডেইলি মেইলকে জানান, এটা তার প্রচেষ্টার দ্বিতীয় বছর। এবছর তিনি বাচ্চাদের খেলনাগুলো এ কাজে ব্যহার করছেন। তাদের সন্তানরা সারা রাত জেগে থাকতো এবং পরেরদিন না ঘুমিয়ে তাদের কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হতো। খেলনা, টিভি কোনোকিছুতে তাদের আসক্ত করা যেত না। তারপর এ ব্যবস্থা।
উপরের ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে এই দম্পত্তির সন্তানরা যখন ঘুমাচ্ছিল তখন জুরাসিক পার্কের এই সদস্যরা টেবিলে রাতে জমিয়ে টি-পার্টির আয়োজন করেছিল।
রেফি বলেন, আমার স্ত্রী সুসান এক রাতে ডাইনোসরগুলোকে বেসিনে রেখে দেন এটা বোঝাতে যে তারাও ব্রাশ করে। পরদিন সকালে তাদের মেয়ে আডিয়া এসে জানায়, সে সত্যি এটা বিশ্বাস করেছে। এ ঘটনার পর তার রেফির বন্ধুরা তাকে ডাইনোভেমবার ফেসবুক পেজ খুলে তা সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে শেয়ার করা পরামর্শ দেয়।
এই গ্রুপের ফলোয়ার এখন ৭৬ হাজার। রেফি বলেন, প্রথমে আমরা আমাদের সন্তানের জন্য কি করছি, তা ছিল মুখ্য বিষয়। কিন্তু বন্ধুরা এটা দেখে পছন্দ করলো। তারা আমাকে এটা এগিয়ে নিতে বললো। তারা বললো, আমি যদি একটি ফেসবুক পেজ করি এবং অন্য বাবা-মা এটা দেখেন তারাও চেষ্টা করবেন তাদের সন্তানের মঙ্গলের জন্য তারাও কিছু করবেন। প্লাস্টিকের ডাইনোসর সব শিশুরেই থাকে। তবে এটাকে এভাবে উপস্থাপন করার কথা কেউ ভাবে না।
ডাইনোসরের মধ্যে একটা আগুনমুখী ড্রাগন এনে সুসান তার সন্তানদের এটা বোঝাতে চাইলেন যে, এরা জীবন্ত হয়ে ফিরে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৩