ঢাকা: এর আগে মেইলবক্স খুলে এত অবাক হইনি। সে হোক ব্যক্তিগত অথবা অফিসের মেইল।
৬ জানুয়ারি ছিল পৃথিবীজুড়ে লোক হাসানো কমেডি চরিত্র মি. বিনের জন্মদিন। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজটি সবচেয়ে সহজ করে কথা না বলে করেছেন তিনি। অভিনয় জগত ছেড়েছেন বেশ কিছুদিন আগেই। তবু একবিন্দু জনপ্রিয়তা কমেনি সব মানুষের প্রিয় চরিত্র সেবাস্টিয়ান আটকিনসন। অবশ্য তার এ নামটি কেড়ে নিয়েছে মি. বিন।
শিশু-কিশোরদের জনপ্রিয় পাতা ইচ্ছেঘুড়ি তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রকাশ করে ছোট একটি লেখা। শিরোনাম ছিল, ‘শুভ জন্মদিন মি. বিন’। লেখক বাংলানিউজের সবচেয়ে কম বয়সী নিউজরুম এডিটর মীম নোশিন নাওয়াল খান। এই মেয়েটিরও জন্মদিন ছিল এদিন। লেখার আইডিয়াটিও ছিল তার।
লেখাটি আপ হওয়ার পরে অনেকটা অবাক করা গতিতে বাড়তে থাকে এর ফেসবুক শেয়ার। খুব শিগগিরিই ঠেকে ৮ হাজারের বেশিতে। লাইকও পড়েছে পাল্লা দিয়ে। অনলাইনে পাঠক পড়েছেন দেড় লাখের বেশিবার। ফেসবুক পেজে উইশ করেছেন কয়েকশজন।
সবকিছু ছাড়িয়ে অবাক হই যখন ইচ্ছেঘুড়ি পাতার মেইলটা খুলি। দেখলাম দুজন ভক্ত মি. বিনের বার্থডে উইশ করেছেন মেইল করে! জাহিদ উজ্জ্বল নামের একজন লিখেছেন >>>Happy birthday <<< >>>Mr. bean <<<। আর জনি সাহা নামে আরেকজন লিখেছেন, Happy birth day to you "Mr. Bean". Many many happy returns of the day.
তারা নিজেরাও হয়তো জানেন, এই মেসেজটি তাদের প্রিয় মি. বিনের কাছে পৌঁছুবে না। তবু তারা মেইল করেছেন আমাদের কাছে। সম্ভব হলে সত্যিই পৌঁছে দিতাম মি. বিনের কাছে।
সর্বজন গ্রহণযোগ্য মানুষকে পৃথিবীর মানুষ এভাবেই ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। হাজার মাইল দূরে থেকেও চিৎকার দিয়ে বলে, আমাদের প্রিয় ‘মানুষ’ মি. বিন শুভ জন্মদিন।
শুনতে পাওয়া না পাওয়ায় কিছু যায় আসে না। প্রকৃত ভালো, সৎ মানুষ এভাবেই অমর হয় পৃথিবীতে।
বোধকরি লেখক মীম নোশিন নাওয়াল খানের সবচেয়ে বড় বার্থডে গিফটও ছিল এটা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৪
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর