ঢাকা: বহুরূপে সম্মুখে তোমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
জীবে প্রেম করে যেইজন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
সুন্দর এই উক্তিটি স্বামী বিবেকানন্দের।
১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত।
ছোটবেলা থেকেই যুক্তিবাদী বাবা ও ধর্মপ্রাণ মায়ের মানসিকতার প্রভাব পড়ে নরেন্দ্রনাথের উপর। বিজ্ঞান ও পাশ্চাত্য দর্শনের সংস্পর্শে এসে যুক্তিবাদী হয়ে ওঠেন তিনি। ধ্যান ও আধ্যাত্মিক দর্শনের প্রতিও তৈরি হয় আগ্রহ।
বিবেকানন্দের পড়ালেখার হাতেখড়ি হয়েছিল বাড়িতেই। পরবর্তীতে ভর্তি হন মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউটে। এরপর পড়েছেন প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজে।
এক শিক্ষকের কাছে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের কথা জানতে পেরে তার সঙ্গে দেখা করেন বিবেকানন্দ। এরপর তার ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে নিয়মিতই তার দর্শনে যেতেন। প্রথমে রামকৃষ্ণের ধ্যান-ধারণা মেনে নিতে না পারলেও পরবর্তীতে আস্তে আস্তে তাকে গুরু হিসেবে মেনে নেন বিবেকানন্দ। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর তার শিষ্যরা বরানগরে একটি মঠ স্থাপন করেন।
পরবর্তীতে বিবেকানন্দ পরিব্রাজক হয়ে ভারত ভ্রমণে বের হন। দেশের বাইরেও গেছেন তিনি।
১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর শিকাগোয় বিশ্বধর্ম মহাসভায় হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন বিবেকানন্দ। সেখা তার বক্তৃতার পর বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি। কলাম্বিয়া ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার প্রস্তাবও পেয়েছিলেন বিবেকানন্দ।
ভারতে ফিরে এসে ধর্ম প্রচারের সংগঠন রামকৃষ্ণ মঠ ও সামাজিক কাজের জন্য সংগঠন রামকৃষ্ণ মিশন স্থাপন করেন বিবেকানন্দ।
বিবেকানন্দ শুধু একজন ধর্মগুরু বা ভালো বক্তাই ছিলেন না, একজন লেখকও ছিলেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই লিখতেন তিনি। অধিকাংশ লেখাগুলোই তার বক্তৃতার সংকলন ছিল, লিখেছেন গান, কবিতা ওন প্রবন্ধও। বিবেকানন্দ একজন ভালো গায়কও ছিলেন।
১৯০২ সালের ৪ জুলাই এই মহান পুরুষ হাওড়ার বেলুড় মঠে মৃত্যুবরণ করেন।
১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তার জন্য ইচ্ছেঘুড়ির পক্ষ থেকে রইল অনেক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৩
সম্পাদনা: মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর/এএ