ইমরুল ইউসুফ-এর ছড়া
কুয়াশা ও সূর্যিমামা
ঘুম ভাঙতেই সূর্যিমামা দেখলো আলো সরছে না
সূর্যের আলোয় মেঘদূতেরা খেলাধুলা করছে না।
ভাবতে বসে সূর্যিমামা উঠে দাঁড়ালো যেই
কুয়াশার বিন্দু জলে মুখ ভিজলো সেই।
সূর্যিমামা রেগে বললো কাজটা কে করলো রে
পানির এমন ঝাপটা দিয়ে মুখটা আমার ভরলো রে!
কুয়াশা বললো তখন কাজটি আমি করেছি
সাতসকালে আজই প্রথম তোমার মুখটা ভরেছি।
কী করবে তুমি বলো খবর এটা জানো কি
এ শীতে আমিই রাজা প্রজা তুমি মানো কি?
এই কথা শুনে মামা উঠলো ভীষণ রেগে
এমন আলো ছাড়বো এখন যাবে তুমি ভেগে।
তোমার বড় বাড় বেড়েছে দেখাচ্ছি মজা দাঁড়াও
ভয়ে বলে জল কুয়াশা হাতটা একটু বাড়াও।
সূর্যি মামা হাত বাড়ায় না বলে তুমি সরো
অন্ধকারের পথ ছেড়ে আলোরই পথ ধরো।
আলো সত্য আলো সুন্দর আলোই সব শক্তি
আলোর পথে হাঁটলে তবে মিলবে তোমার মুক্তি।
শাহজাহান মোহাম্মদ-এর দুটি ছড়া
এই শীত
পৌষ-মাঘের এই শীতে
সব ভেদাভেদ ভুলে
বস্ত্রহীনের পাশে গিয়ে
দাঁড়াই দু’হাত তুলে।
টনটনে শীত
টনটনে কনকনে
এলো আবার শীত
কুয়াশায় মাখা বন
শিশিরের গীত।
তরতাজা সবজি
ভরে গেছে ক্ষেতে
ফুলে ফুলে মধু খায়
মৌমাছি মেতে।
ভিনদেশি পাখিদের
জমে ওঠে খেলা
কৃষাণীর শুরু হয়
ধান ভাঙার মেলা।
খেঁজুরের রসে রসে
চারিদিকে ঘ্রাণ
পাখিদের কলতানে
জেগে ওঠে প্রাণ।
দাদা-দাদি নানা-নানি
গায়ে চাদর মুড়ে
খায় তারা পিঠা-পুলি
খেঁজুরের গুড়ে।
ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: ichchheghuri24@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৪