মনুর বাপ ভাঙাচোরা মনুর মায়ের দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে হাউমাউ করে কান্না জুড়ে দিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে গেলো!
এমনই একটা কাহিনি মুহূর্তে ছড়িয়ে গেলো গ্রামে।
কাহিনীর হাত-পা গজাতে লাগলো।
এরা এসে ভয়ে-কৌতূহলে বলাবলি করছে, এমন আজব ঘটনা তো জীবনেও শুনিনি!
কোত্থেকে জানি কয়েকজন সঙ্গীসহ মস্তবড় এক ওঝা হনহন করে চলে এলো এখানে। ওরা এসেই বললো, এগুলান মহা পাঁজি ভূতের কাম। এখনই ওদের কোমর ভাঙতে না পারলে এ গ্রামের যার-তার ওপর ‘আছর-আবদার’ করে সাংঘাতিক ফ্যাসাদে ফেলে দিতে পারে। ছেলে-বুড়ো কেউই নিরাপদ না। এদের কবলে পড়লে আর দিশা-মিশা পাবে না কেউ! তয় আসল চিকিৎসা শুরু করলে আপছে-আপ সেরে যাবে সব।
ভাঙা মনুর মা উঠে দাঁড়াবে, মনুর বাপ ফিরে এসে হাসি দিয়ে সবাইকে সালাম দিয়ে ঘরে চলে যাবে। তয় সালাম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুদ্ধভাবে জবাবে বলবেন, ওয়ালাইকুমাস সালাম। সালামে ও আদব-লেহাজে হের-ফের হলে কিন্তু খবর আছে! পরে সে সবাইকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন ছুড়ে মারল, ‘কী পারবেন না?’ ছোট-বড় সবাই বলল, ‘হ হ পারবো। ’
‘তাহলে কি শুরু করবো ভয়ঙ্কর পাঁজি ভূতের চিকিৎসা?’ সবাই সমস্বরে শুরু করেন, ‘শুরু করেন, শুরু করেন,’ বলে ওঝাকে ভূতের চিকিৎসা করার অনুমতি দিল। কয়েকজন ফিসফিস করে বললো, ‘ওঝা একখান!’
চলবে…
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এএ