ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

তেলাপোকা মারার ওষুধে মৃত্যু: কোম্পানির এমডি-চেয়ারম্যান রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
তেলাপোকা মারার ওষুধে মৃত্যু: কোম্পানির এমডি-চেয়ারম্যান রিমান্ডে

ঢাকা: রাজধানীতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে 'তেলাপোকা মারার ওষুধের' বিষক্রিয়ায় দুই সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায় পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ‘ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেডে’র চেয়ারম্যান ও এমডির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া দুই আসামি হলেন- প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান এবং ফরহাদুল আমীন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী হাসনাইন তালুকদার (সুজন) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

শুনানিতে তিনি বলেন, কোম্পানির কর্মচারীরা বাসায় স্প্রে করে আসে। তাদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পরে বাসায় প্রবেশ করতে বলেন। কিন্তু তারা দুই ঘণ্টা পরই বাসায় প্রবেশ করে এসি ছেড়ে দেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১০ বছর ধরে এ কাজ করে যাচ্ছে। এমন ঘটনা প্রতিষ্ঠানটির আগে কখনও ঘটেনি। তারা ট্রেনিংপ্রাপ্ত। আর আসামিদের এজাহারে নাম নেই। তাদের রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের প্রার্থনা করছি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

সিএমএম আদালতে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রনপ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

এ মামলায় ৬ জুন স্প্রে ম্যান টিটু মোল্লার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 'তেলাপোকা মারার ওষুধের' বিষক্রিয়ায় রোববার ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন তুষারের দুই ছেলে শাহিল মোবারত জায়ান (৯) ও শায়েন মোবারত জাহিনের (১৫) মৃত্যু হয়। মোবারক হোসেন ঢাকা রয়েল ক্লাব লিমিটেডের (উত্তরা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পরিবার নিয়ে তিনি রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় থাকতেন। এ ঘটনায় তিনি ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, পোকামাকড় মারতে মোবারক হোসেন নিজের বাসায় ওষুধ প্রয়োগে 'ডিসিএস অর্গানাইজেন লিমিটেড' নামে ওই কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির কর্মীরা পোকামাকড় নিধনের জন্য এলুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট (গ্যাস ট্যাবলেট) ব্যবহার করেছিলেন। ওষুধ দেওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে ঘরে ঢুকতে নিষেধ করা হয়। কোম্পানির নির্দেশনা মেনে ১৫ ঘণ্টা পর পরিবারের সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করেন। এরপরই বিষাক্ত গ্যাসের বিক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে শুরু করেন তারা। সেই ঘটনায় ওই দুই কিশোরের মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২৩
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।