ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্ত্রীসহ গুলশান থানার সাবেক ওসির কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
স্ত্রীসহ গুলশান থানার সাবেক ওসির কারাদণ্ড ফাইল ফটো

ঢাকা: দুদকের দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় গুলশান থানার সাবেক ওসি ফিরোজ কবিরকে ছয় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদেরও চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে।

বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে জামিন বাতিল করে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।  

ফিরোজ কবিরকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ অর্থাৎ এক কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। ফিরোজ কবির কর্তৃক অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অর্থাৎ ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফিরোজ কবিরকে অর্থদণ্ডের টাকা রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ব্যর্থতায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী আদায়যোগ্য হবে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু সাজার বিষয়টি জানান।

জানা যায়, ফিরোজ কবির ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০১৬ সালের ৩১ মে পর্যন্ত এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্রাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সর্বমোট ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা করেন। তাদের ব্যাংক হিসাবগুলোতে পেশার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেনদেন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন।  

কিন্তু যে ধরনের ও যে অঙ্কের লেনদেন হয়েছে তা বেতন ভাতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় যে, জমাকৃত উক্ত অর্থ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি ও ঘুষ সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধলব্ধ।  

এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালে দুদক এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
কেআই/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।