ঢাকা: যৌন হয়রানি নিয়ে কমিটি গঠন সংক্রান্ত বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর (সংশোধিত ২০২২ সালে) বিধি ৩৬১ক(২) এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফ্লাড) এর পক্ষে সংগঠনের সেক্রেটারি হাসিন রশিদ রিটটি দায়ের করেন।
এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিবসহ পাঁচজনকে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি থেকে নারী-মেয়ে শিশুদের রক্ষার্থে উপযুক্ত নীতিমালা তৈরির বিষয়ে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটের ওপর ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। সে রায়ে দেশের সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে রায়ে বলা হয়েছিল, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হবে। যার মধ্যে দুজনকে প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
অথচ সে রায় অনুসরণ না করে ২০২২ সালে সরকার বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর সংশোধন করে।
সেই সংশোধিত আইনের বিধি ৩৬১ক(২)-তে বলা হয়, ‘প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে অন্যূন ৫ সদস্যবিশিষ্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ে অভিযোগ কমিটি গঠন করতে হবে যার প্রধান হবেন একজন নারী এবং কমিটিতে প্রতিষ্ঠানের মধ্য হতে সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী প্রতিনিধি থাকবেন। ’
অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দুজন সদস্যকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির যে রায় রয়েছে তা এই সংশোধনী বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর ফলে কোনো ভুক্তভোগীর সঠিক বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই রিটে উক্ত বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
ইএস/আরআইএস