ঢাকা: পিরোজপুর ১ ও ২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ওই দুই আসনের ৫ বাসিন্দার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (৩০ জুলাই) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ আগস্ট দিন রেখেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম কে রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী।
পিরোজপুর-১ আসন আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এ আসনের সীমানা পরিবর্তন করে নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা যোগ করা হয়েছে। ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিল।
অন্যদিকে নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গত ১ জুনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।
আরও পড়ুন:
১০ সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ