ঢাকা: রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান স্থায়ী জামিন পেয়েছেন।
বুধবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন মতিউর রহমান।
তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন প্রশান্ত কর্মকার। শুনানি শেষে আদালত তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২৯ মার্চ রাতে রমনা থানায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইনজীবী আবদুল মালেক। এ মামলায় পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস ও ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলো একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। প্রথম আলো পত্রিকা অফিস থেকে সংবাদটি শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি শিশুটির নাম জাকির হোসেন। কিন্তু রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে, পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব। ’
সংবাদটি দেশ বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। এই ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালী গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণসহ বহিঃবিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
গত ২ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পান মতিউর রহমান। হাইকোর্ট তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক গত ৩ মে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মতিউর রহমান। আদালত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তার জামিন বহাল রাখে। একইসঙ্গে সিএমএম আদালত থেকে মামলার নথি তলব করে।
সে অনুযায়ী বুধবার মলার মূল নথিসহ জামিন শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করলেন।
এদিকে মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনেন বাদী আব্দুল মালেক। এ মামলায় শামসুজ্জামানও জামিনে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ