ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা

বদিউল আলমের শ্যালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
বদিউল আলমের শ্যালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মার্শা বার্নিকাট

ঢাকা: সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনার মামলায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (০৪ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবী এ আদেশ দেন।

 

১৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন করে মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  

মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মুজাহিদ আজমি তান্না মারা যাওয়ায় চার্জশিটে আসামির সংখ্যা নয়জনই থাকে।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে সভাপতি) নাইমুল হাসান, একই থানার থানার তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর আমজাদ হোসেন, ফিরোজ মাহমুদ, মো. সাজু ইসলাম, রাজিবুল ইসলাম রাজু, শহিদুল আলম খান কাজল, সিয়াম, অলি আহমেদ ওরফে জনির নামোল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়দের নাম-ঠিকানা জানতে না পারায় আরও ১৫-২০ আসামির নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। এতে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়।

আসামি ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। অপরদিকে মুজাহিদ আজমিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। সেই সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আজ আদালত পলাতক আসামি ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।  
সিএমএম আদালতে মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই এশারত আলী এ তথ্য জানান।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. আবদুর রউফ এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই অভিযোগপত্রে ছাত্রলীগ নেতাসহ নয়জনের নামোল্লেখ করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৮ সালে ৪ আগস্ট রাতে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউলের মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের বাসায় নৈশভোজের অংশ নিতে যান। যেখানে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমও অংশ নেন। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে বদিউলের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। নৈশভোজ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তারা বার্নিকাটের গাড়ি ধাওয়া করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সেই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে নয়জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর পর রাষ্ট্রপক্ষে পাঁচজন সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষীতে ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যক্তির জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। তাই মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য আবেদন করেন ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর ১ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান ছিদ্দিকী অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।

২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই রাতে ৩০-৪০ জন দুর্বৃত্ত বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা করে। তারা বার্নিকাটের ড্রাইভার ও বদিউলের ছেলের ওপর আক্রমণ করে। বার্নিকাটের গাড়িতে পেছনে পেছনে ধাওয়া করে ও ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পিস্তল ও লাঠিসোটা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে আগুন দেওয়ার উসকানি দেয় দুর্বৃত্তরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২৩
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।