বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে বাসুদেব ওরফে বাপ্পী কর্মকার নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাসুদেব ওরফে বাপ্পী কর্মকার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বাবুল কর্মকারের ছেলে। মামলার অন্য তিন আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পিরোজপুর উপজেলার মঠবাড়িয়া থানার চরকাছারিয়া সুবোধ কুমারের মেয়ে সেতু রানিকে আসামি বাসুদেব শাহসহ কয়েকজন অপহরণ করে বিয়ে করেন এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতে থাকেন। পরে তারা এলাকায় এসে বসবাস এবং স্বর্ণের ব্যবসা শুরু করেন। একপর্যায়ে স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন এবং তার বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা নেন। ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট ৮ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করেন বাসুদেব। এসময় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ সৎকারের পর ৮ আগস্ট কচুয়া থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে দীর্ঘদিন ঘুরিয়েও মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে একই বছরের ২ সেপ্টেম্বর নিহত সেতুর বাবা সুবোধ কুমার চারজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল সাতজনের নামে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে পিবিআই। আদালত নয়জনের সাক্ষ্য শেষে আসামি বাসুদেব ওরফে বাপ্পী কর্মকারকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ এবং অন্য আসামিদের অব্যাহতি দেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহী আলম বাচ্চু এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি সিদ্দিকুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
আরএ