ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গাজীপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
গাজীপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

গাজীপুর: গাজীপুরে অপহরণের পর স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে সাতজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সেলিম (২২), আব্দুল্লাহ আলম মামুন (১৯), শাহ আলম (২৯), মো. রিপন মিয়া (৩০), মো. মিলন খন্দকার (২৪), মো. তানজিল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (২২)।

রায় ঘোষণার সময় সেলিম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, রিপন খন্দকার ও তানজিল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সোহেল পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরদিন সোহেলের বাবার মোবাইলে কল দিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার সন্ধান দেবে বলে এক লাখ টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে ১০ ডিসেম্বর সকালে জয়দেবপুর থানার লুটিয়ারচালা এলাকায় গজারি বনের ভেতরে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত সোহেলের বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, অজ্ঞাতনামা খুনিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোহেলকে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী দোকানে যাওয়ার পথে কৌশলে ডেকে নিয়ে মারধরের পর গলায় সুতা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে। পরে মরদেহ লুটিয়ারচালা এলাকার মিনার দাগ গজারি বনের ভেতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তের পর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ওই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত সাত আসামিকে এ সাজা দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মাহবুব আলম মামুন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট লাবিব সিদ্দিকী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
আরএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।