ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি-অ্যাটর্নি জেনারেলের শোক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি-অ্যাটর্নি জেনারেলের শোক

ঢাকা: সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) পৃথক বার্তায় তারা এ শোক প্রকাশ করেন।

এর আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে (বাংলাদেশ সময়) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী (৭২) ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আব্দুল জামিল (এ জে) মোহাম্মদ আলী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছিলেন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্য।  

প্রধান বিচারপতির শোক
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেলের শোক
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গভীর শোক জানিয়েছেন। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। আল্লাহ মরহুমকে জান্নাতবাসী করুন আমিন।

সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতির শোক
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য, প্রথিতযশা আইনজীবী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

শোক বার্তায় আরও বলা হয়, এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে দেশের আইনাঙ্গণে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।  

এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  

তার বাবা এম এইচ খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। ১৯৭৮ সালে ঢাকা জেলা জজ আদালতে, ১৯৮০ সালে তিনি হাইকোর্টে ও ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

২০১৩-১৪ সেশনে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৪
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।