ঢাকা: নদীর তীর, চর বা তলদেশ উদ্ধার, ভরাট, খনন, ঘেরাও ও বেড়া নির্মাণের ক্ষমতা দিয়ে করা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২-এর একটি উপধারা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ছয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন পাস করা হয় এবং একই সালের ১৩ এপ্রিল গেজেট প্রকাশিত হয়। উক্ত আইনের ১০ ধারায় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে। উক্ত আইনের ১০(২) (চ) উপধারায় বলা হয়েছে, জলমগ্ন অবস্থা হইতে নদীর তীর, চর বা তলদেশ উদ্ধার, ভরাট, খনন, ঘেরাও বা বেড়া নির্মাণ।
ওই বিধান চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ফিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, শুনানি শেষে আদালত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২-এর ধারা ১০(২)(চ)-এর ভরাট করার ক্ষমতা কেন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, জলাধার সংরক্ষণ আইন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, নদী সংরক্ষণবিষয়ক সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায় এবং কর্ণফুলী নদী সংরক্ষণ মামলা বিভিন্ন রায় অনুসারে নদীর জায়গা ভরাট করার ক্ষেত্রে আইনগত বিষয় রয়েছে। কিন্তু ওইসব রায় অবজ্ঞা করে কর্ণফুলী নদী ভরাট করার উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে আইন করে এ ভরাটের ক্ষমতা আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ধরনের ক্ষমতা থাকলে কর্ণফুলী নদী রক্ষা করা যাবে না এবং সব রায় অকার্যকর যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
ইএস/আরবি