ঢাকা: আদালত অবমাননরা অভিযোগে বিএনপিপন্থি ছয় আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে উপস্থিত না থাকায় আবেদনকারীকে এক লাখ টাকা খরচা (কস্ট) দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
রোববার (৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে সাত আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ‘আমরা বাংলাদেশের বিচারপতিরা আমরা হলাম শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’- আপিল বিভাগের এক বিচারপতির এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মিছিল-স্লোগান-সভা অব্যাহত রাখায় বিএনপিপন্থি কয়েকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৯ আগস্ট আদালত অবমাননার আবেদন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।
পরে ১৫ নভেম্বর এক আদেশে আপিল বিভাগ সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ১৫ জানুয়ারি বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীকে তলব করেন।
সে অনুসারে ১৫ জানুয়ারি সাত আইনজীবী আপিল বিভাগে হাজির হন। তার ধারাবাহিকতায় রোববার আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
সাত আইনজীবী হলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী (২ মে প্রয়াত হন), ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
পরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও আবেদনকারী ও তাদের আইনজীবী শুধু একদিন হাজির ছিলেন। আজও তারা উপিস্থত হননি। এ কারণে আপিল বিভাগ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আর আইনজীবীকে এক লাখ টাকা কস্ট দিয়েছেন। আমরা আবেদন করেছি, এই অর্থ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দেওয়ার জন্য। আদালত আমাদের আবেদনে সেই আদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৪
ইএস/এইচএ/