ঢাকা: রিমান্ড শুনানির সময় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামকে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময়ের জেরে ঢাকা মহানগর আদালতের নাজির শাহ মো. মামুনের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১টার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত এ কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসির (প্রসিকিউশন বিভাগ) ও কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মন্ত্রী কামরুলের সাথে কুশল বিনিময়ের ব্যাপারে নাজির মামুনের বিষয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনকে অবহিত করেন ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। পরে বিচারক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
এর আগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির মারজিয়া হিরা নামের একজন আইনজীবী নাজির মামুনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ চেয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সকালে কামরুল ইসলামের রিমান্ড শুনানিতে তার ছেলে ডা. তানজির ইসলাম অদিত ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতের লাল সালুর ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন মহানগর আদালতের নাজির মামুন আসামি কামরুল ইসলামকে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করেন। আসামির ছেলেকে আদালতের ভেতরে প্রবেশের বিষয়ে সহযোগিতা করেন। নাজির গত ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আসামি কামরুল ইসলামের নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করেছিলেন।
ভাঙচুরের বিষয়ে নাজির শাহ্ মো. মামুন বলেন, আমি অফিসে নেই, কাজে বাইরে আসছি। শুনেছি আমার অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। কে বা কারা কী কারণে করেছে কিছু জানি না।
কামরুলের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সহযোগিতার বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মহানগর আদালতে কামরুল ইসলাম যখন আসতেন তখন আমার অফিসে বসতেন। এইভাবে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। আজকে সকালে একটি কাজে সিএমএম আদালতে যাই। তখন হঠাৎ সাবেক মন্ত্রী কামরুলের সঙ্গে দেখা হয়। তখন তিনি আমাকে ডেকে বলেন, এই নাজির কেমন আছো? তখন আমি বলেছি, জ্বী স্যার আমি ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন? পরে আমি কাজ শেষে চলে এসেছি। আর তার ছেলেকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তার সাথে আমার পরিচয় নেই।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে নাজিরের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমার ফোর্স সেখানে গেছে। তারা রিপোর্ট দিলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আমি নার্কোটিকসের একটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য নেপালে রয়েছি। এ বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত কিছু জানি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
কেআই/এমএম