ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল বুধবার (২৯ জানুয়ারি)।
তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি দুদকের এ কর্মকর্তা। তাই আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ঠিক করেন। এ মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে জাকির হোসেন ভূঁইয়া হাজিরা দাখিল করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০২৩ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলার চার্জগঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
একই বছর ৩০ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
এরপর ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী মাহবুবুল আলম তার জবানবন্দি শেষ করেন। পরে ১৭ অক্টোবর তাকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের দুই সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম।
তাদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন। আর আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার সময়েই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান। পরে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
কেআই/আরএইচ