২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বেলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির। বিবাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
পরে সাঈদ আহমেদ বলেন, সোনারগাঁওয়ের ৬টি মৌজায় কৃষি জমি, নিচু জমি ভরাট করে ইউনিক প্রোপার্টিজ সোনারগাঁও রিসোর্ট সিটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। এর বিরুদ্ধে বেলা রিট করার পর ২০১৪ সালের ২ মে হাইকোর্ট রুল জারি করে সোনারগাঁও রিসোর্ট সিটি নির্মাণে প্রথম নিষেধাজ্ঞা দেন এবং যে অংশ ভরাট করা হয়েছে তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
রুলে সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর, জেনপুর, ছয়হিস্যা, চরভাবানাথপুর, ভাটিবান্ধা ও রতনপুর মৌজার কৃষি জমি, জলাভূমি, নিচুভূমি রক্ষায় কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি ওই এলাকায় আবার মাটি ভরাট শুরু করায় ২০ অক্টোবর বেলার পক্ষ থেকে আদালত অবমাননার অভিযোগ নোটিশ দেওয়া হয়।
পরে ২৫ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি হাইকোর্টে একটি আবেদন করে আদালত পূর্ববর্তী অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা সংশোধন করে প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার আদেশ নেন। এর মধ্যে তারা সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন নামকরণ করে।
২৫ অক্টোবরের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে বেলা।
৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ৬ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে মূল রিট নিষ্পত্তির করতে পক্ষগণকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করে দেন।
সাঈদ আহমেদ জানান, হাইকোর্টে রুল শুনানি অবস্থায় ওই প্রকল্পে মাটি ভরাট কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। পরে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন এবং তলবের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আদালত নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মাটি ভরাটের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে তলব করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
ইএস/এসএইচ