বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ আবেদন করা হয়।
এর আগে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) তাকে আপিল বিভাগে আবেদন করার সুযোগের কথা বলেছিলেন হাইকোর্ট।
ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জন ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরের দিন তারা শপথ নেন। ওইদিন থেকেই তাদের নিয়োগ কার্যকর হয়।
গত ০৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্টে নিয়োগ পাওয়া ১০ অতিরিক্ত বিচারপতির মধ্যে ওই ০৮ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
এর মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে ফরিদ আহমদ শিবলী বাদ পড়েন।
বিচারপতি শিবলীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে বাদ দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। তাকে স্থায়ী না করার বিষয়ে ০৯ ফেব্রুয়ারি একটি সংবাদ দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কার্যা লয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।
মনজিল মোরসেদ বলেন, রিটে ফরিদ আহমদ শিবলীকে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে কেন স্থায়ী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
ওইদিনই বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটির নিষ্পত্তি করে দেন। এবং আদেশে বলেন, আবেদনকারী চাইলে আপিল বিভাগে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর