ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য নিয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য নিয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানোর বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

গ্রিক ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে একটি ভাস্কর্য গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপন করা হয়।

এরপর এটা সরাতে হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী সংগঠনগুলো আন্দোলনে নামে। এর মধ্যে ওলামাদের দাবির সঙ্গে একমতও পোষণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনটা কিন্তু প্রধান বিচারপতির। এখানে ভাস্কর্য যখন বসানো হয়েছিলো তখনো আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি। আর এই ভাস্কর্য  সরানোর ব্যাপারেও উনার (প্রধান বিচারপতি) সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু আমি এটুকু বুঝি যে এই ভাস্কর্য প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে  কিছু দ্বিধা দ্বন্ধ উঠেছে। ’

আনিসুল হক আরো বলেন, ‘এই সুপ্রিম কোর্টটা অত্যন্ত পবিত্র স্থান। এটা যেন কোনোভাবেই কলুষিত না হয়, এখানে যাতে কোনো রকম অরাজকতা না হয় সেটা সকলের বিবেচনা করা উচিত। ’

ভাস্কর্য স্থাপনে কি কলুষিত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা বলছিনা, প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে। এটা কিন্তু প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। সে কারণে আপনারা বুঝেন আমি কি বলেছি। ’

ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড লেবার লেজিসলেশন ফর জাজেস অ্যান্ড জুডিশিয়াল অফিসার্স শীর্ষক ট্রেনিংয়ের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো.জহিরুল হক, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন এবং আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস বি রেড্ডি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ।

৩০ বিচারক ও বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এ কর্মশালা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত।  

অংশগ্রহণকারী বিচারক ও বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাগণের মধ্যে রয়েছেন-  নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, কক্সবাজার, নরসিংদী, বাগেরহাট, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর ও চাঁপাইনবাগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকার ২য় শ্রম আদালত, চট্টগ্রামের ১ম শ্রম আদালত ও খুলনার শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা জজ)।

এছাড়াও নয় জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ৩০ জন অংশ নিচ্ছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
ইএস/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।