সোমবার (২২ মে) ড. এবিএম আব্দুল্লাহ্সহ ৮ চিকিৎসক ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলমের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এবিএম আব্দুল্লাহ্সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মোট নয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ডিএমপি’র ধানমণ্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রুহুল আমিন সাগর বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, মামলার নয় আসামির মধ্যে ডা. এম এ কাশেম আটক রয়েছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওইদিনই দুপুরে ভুল চিকিৎসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী চৈতি মারা যান বলে অভিযোগ করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে।
ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান।
সে সময় ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে দুই চিকিৎসককে ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হন চৈতি। তবে ক্যান্সার হয়েছে- এমন কথা জানিয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার জানানো হয়, তার ডেঙ্গু হয়েছে। পরে তিনি মারা গেলে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭/আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা
এমআই/জেডএস/এএসআর