এ বিষয়ে করা রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি করে বুধবার (৩১ মে) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
লালবাগ কেল্লার সীমানার ভেতরে নিজ সম্পত্তি দাবি করে স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেন আবুল হাসেম। পরে প্রশাসন তা উচ্ছেদ করতে গেলে হাইকোর্টে রিট করেন আবুল হাসেম।
এ রিটে পক্ষভূক্ত হয় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস পর বাংলাদেশ।
এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সীমানার ভেতরে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট ।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন হাসেম। ২০১৪ সালের ০৮ জুন আপিল বিভাগ আপিল নিষ্পত্তি করে রায় দেন। ফলে ওই স্থাপনা অপসারণ করা যায়নি।
পরে হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে লালবাগ কেল্লার জরিপ প্রতিবেদন যুক্ত করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন জানান মনজিল মোরসেদ।
এ আবেদনের শুনানিতে আপিল বিভাগ হাসেমের স্থাপনা লালবাগ কেল্লার সীমানার মধ্যে পড়েছে কি-না- তা জরিপ করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই দুই ব্যক্তির স্থাপনা লালবাগ কেল্লার সীমানার মধ্যে। যেটি তারা আগেই নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছিলেন। এ কারণে আদালত তিন মাসের মধ্যে স্থাপনা ভাঙার নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের ৪০ লাখ টাকা দিতে বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
ইএস/এএসআর