কিন্তু মামলা বাতিলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং নামজারি বাতিলে মনজুর আহমদ আপিল বিভাগের রায়ের পুর্নবিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেছেন।
গত ৩১ মে দুই পক্ষের রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের দিন রোববার (০৪ জুন) ধার্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
গত বছরের ০২ আগস্ট আপিল বিভাগ ওই রায় দিয়েছিলেন। ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের আপিল মঞ্জুর করায় বাড়িটি মওদুদ আহমদের ভাইয়ের নামে নামজারি করতে হবে না। ফলে ভাইয়ের নামে দখল করা বাড়িটি মওদুদ আহমদকে ছাড়তে হবে।
এছাড়া দুর্নীতি মামলার অভিযোগ আমলে নেওয়া বৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মওদুদ ও তার ভাই মনজুরের করা আপিল নিষ্পত্তি করে দেওয়ায় বিচারিক আদালতে মামলাটি চলবে না।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ১২ আগস্ট ওই বাড়িটি মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন করার রায় দেন হাইকোর্ট।
রাজউক এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করে ২০১১ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি। ২০১৪ সালের ০৯ মার্চ আপিল বিভাগ রাজউককে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর গত বছর এ আপিলের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ০২ আগস্ট হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেন।
২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাড়িটি নিয়ে দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশীদ রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদ ও তার ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ১৪ জুন এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে তাদের আবেদন গত বছরের ২৩ জুন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন মওদুদ আহমদ। এ আবেদনের শুনানি শেষে ০২ আগস্ট মামলাটি বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ।
দুদকের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাড়িটির প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির (রাজউক) কাছ থেকে এক বিঘা ১৩ কাঠার এ বাড়ির মালিকানা পান এহসান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের পাশাপাশি তার স্ত্রী অস্ট্রিয় নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন এহসান। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভূক্ত হয়।
এরপর ১৯৭৩ সালের ০২ আগস্ট মওদুদ তার ইংল্যান্ডপ্রবাসী ভাই মনজুরের নামে একটি ভুয়া আম মোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন বলে মামলায় অভিযোগ করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর