এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (০৭ জুন) বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম।
গত বছরের জুলাই মাসে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই ছাত্রী তাদের মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশের পর বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাদাৎ হোসাইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন।
অভিযোগ আসার পর গত ০৬ মার্চ তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে সেটি কার্যকর হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে।
ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগ সত্য। ছাত্রীদের সঙ্গে ড. মো. সাহাদাৎ হোসাইনের ওই আচরণ স্পষ্টতই নৈতিক স্খলন, যা গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই সর্বসম্মতিক্রমে তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
এ রিটের শুনানি নিয়ে তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
তিন সপ্তাহের মধ্যে ঢাবির ভিসি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট পর্ষদ, রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম বলেন, ড. মো. সাহাদাৎ হোসাইনকে বরখাস্তের আগে কোনো ধরনের শো’কজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। এমনকি তাকে নিজের পক্ষে কোনো যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ না দিয়েই বরখাস্ত করা হয়েছে। তাই তিনি রিট করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
ইএস/এএসআর