সোমবার (১২ জুন) স্বশরীরে হাজির হয়ে জামিন আবেদনের পর বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
আদেশের পরে তিনি বলেন, চার সপ্তাহ জামিনে থাকার পর আফসান চৌধুরীকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, অধ্যাপক আফসান চৌধুরী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে মানহানিকর ও মিথ্যা অপপ্রচার চালান। এ অভিযোগে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বাদী হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
অধ্যাপক আফসান উদ্দিন চৌধুরী উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তার নিজ ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী মামলার এজাহারের উল্লেখ করেছেন, আফসান চৌধুরী তার ওই মিথ্যচারে উল্লেখ করেছেন ‘পিকাসো রেস্টুরেন্টের মালিক অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এ নামটি বলতে গণমাধ্যমের সমস্যা কোথায়?’
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমি পিকাসো রেস্টুরেন্টের মালিক নই’।
‘বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছেন। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালান তিনি’।
মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ফেসবুকে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালানোর কারণে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের সামাজিকভাবে মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। এ কারণে অধ্যাপক আফসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেছি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
ইএস/এএসআর
** আফসান চৌধুরীকে গ্রেফতারের চেষ্টায় পুলিশ