মঙ্গলবার (১৩ জুন) এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় শুনানি শেষে দিন পিছিয়ে দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবীবের আদালত।
মামলাটিতে বর্তমানে ১১ জন আসামি কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন- বিমানের ইঞ্জিনিয়ার অফিসার নাজমুল হক, জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলম, প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ। তদন্তে আসামিদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও ব্যর্থতা উঠে আসে।
এরপর গত বছরের ২০ ডিসেম্বর রাতে দণ্ডবিধির ১০৯/১১৮/১২০(খ)/২৮৭ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ২৭ নভেম্বর বিমানের বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটি প্রধানমন্ত্রীর বুদাপেস্ট সফরের জন্য ঠিক করা হয়। আসামিরা বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশল বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তা। তাদের ওপর ওই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। আসামিরা ২৬ নভেম্বর উড়োজাহাজটি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণও করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়োজাহাজটি ২৭ নভেম্বর সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। উড়োজাহাজটি অনুমানিক ২ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ওড়ার পর পাইলট ইঞ্জিনে তেল কমার লক্ষণ দেখতে পান।
এর ৩০ মিনিট পর পাইলট ইঞ্জিনের তেলের চাপ আরও কমার লক্ষণ দেখতে পান। এরপর বাংলাদেশ সময় ১টা ৫৮ মিনিটে ইঞ্জিনে তেলের চাপ লিমিটের নিচে নেমে আসায় নির্ধারিত গন্তব্যের আগেই উড়োজাহাজটিকে অবতরণ করাতে বাধ্য হন পাইলট। এরপর বামপাশের ইঞ্জিনের কাইরলং খোলা হলে ওয়েল প্রেসারের বি-নাট ঢিলা পাওয়া যায়। পরে তা মেরামত করা হলে ওই উড়োজাহাজেই বুদাপেস্টে যান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর