একই মামলার নয় আসামির মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন- মো. আব্দুস সালাম (৭৫), সুরুজ আলী ফকির (৬২), মো. জয়েনউদ্দিন (৬০), মো. আব্দুর রহিম ওরফে নুরু বিএসসি (৬৭), মো. জালাল উদ্দিন (৫৯) ও মো. রোস্তম আলী(৭০)।
পলাতক তিনজন হলেন- শমসের ফকির (৬৬), ফজলুল হক (৫৯) ও সামসুল হক (৭০)।
সোমবার (১৯ জুন) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর আবুল কালাম।
ট্রাইব্যুনালে আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
পরে মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। এটি আমলে নেওয়া হবে কি-না- সে বিষয়ে আগামী ১০ জুলাই আদেশের দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৯ মার্চ ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে চার খণ্ডে ৪২৯ পৃষ্ঠার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
গত বছরের ১৭ মে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে গত ২৯ মার্চ শেষ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।
ঘটনার ৫২ জন ও জব্দ তালিকার তিনজনসহ মোট ৫৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন আসামিদের বিরুদ্ধে।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকায় ১০১ জনকে হত্যা-গণহত্যা ও ১২ থেকে ১৩ জনকে আহত করা, একজন নারীকে ধর্ষণ, শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনের ৮টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে জামায়াত ও মুসলিম লীগ ছাড়াও একজন আওয়ামী লীগের সমর্থক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর