এ বিষয়ে জারি করা হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদেশ অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
গত ২৪ এপ্রিল বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সিয়াম খানকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সিফাত মাহমুদ।
পরে আদালত রুল জারি করেন। পাশাপাশি আদালত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের তলবও করেছিলেন।
এর মধ্যে সংশ্লিষ্টরা হাজির হয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করার কথা আদালতকে অবহিত করেন। পরে আদালত এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে ওই প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সিয়াম খান (১৭) পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতো। ৫ এপ্রিল বিকেলের ঝড়ে গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যায়। সন্ধ্যায় বিঝারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মজিবুর রহমান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেলা কার্যালয়কে ফোনে বিষয়টি জানান।
আরও পড়ুন>>চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টে রিট
পরদিন সকালে ওই সঞ্চালন লাইন মেরামত করা হবে বলে মজিবুরকে জানানো হয়। কিন্তু সঞ্চালন লাইন মেরামত না করেই পরদিন দুপুরে লাইনটি চালু করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
এদিন ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় সঞ্চালন লাইনের তারে জড়িয়ে আহত হয় সিয়াম।
আহত সিয়ামকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শরীরে দুই দফা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
এরপর সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় ১২ এপ্রিল তার বাঁ হাত কবজির উপর থেকে কেটে ফেলা হয়। একই কারণে ১৬ এপ্রিল কেটে ফেলতে হয় তার ডান হাতও। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যাওয়ায় সেখানেও অস্ত্রোপচার করাতে হবে।
আরু পড়ুন>>নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে ভ্রাম্যমাণ আদালত আরও দুই সপ্তাহ
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪,২০১৭
ইএস/এমএ