গত ০৩ জুলাই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে রায়টি দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রমতে, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে।
১৯৭২ সালে সংসদের হাতে উচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণের বিধান রেখে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। সংবিধান সংশোধনের কারণে এটি প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের (বিচার বিভাগ) হাতে চলে যায়।
কিন্তু ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা বাহাত্তর সালের মতোই সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হয়। সংশোধনী আনার পর এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ০৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ০৯ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ০৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।
এর বিরুদ্ধে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল শুনানি শুরুর আগে গত ০৮ ফেব্রুয়ারি ১২ জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ।
গত ০৮ মে থেকে ০১ জুন পর্যন্ত ১১ কার্যদিবসে উভয়পক্ষ আপিল শুনানি ও যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন এবং ১০ জন অ্যামিকাস কিউরি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু তার মতামত উপস্থাপন করেন।
সাত কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং রিট আবেদনকারী আইনজীবীদের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
পরে ১২ জনের মধ্যে ১০ অ্যামিকাস কিউরি তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। তাদের মধ্যে নয়জন বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে রাখার পক্ষে মত দেন।
বাকি একজন ষোড়শ সংশোধনীকে বৈধ বলে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে রাখার পক্ষে মত দেন।
গত ০১ জুন শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর