বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলাটি করেন তাদের হাতে ‘নির্যাতিত’ ফরমান উল্লাহ খানের স্ত্রী শাহানা আক্তার।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলম বাদিনীর জবানবন্দি নিয়ে আগামী ১৯ জুলাই মামলাটি গ্রহণের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে, পুলিশের যাত্রাবাড়ী জোনের এসি ইফতেখারুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রশাসন) আনিসুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ, এসআই জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, কবির হোসেন উকিল, শাহীন পারভেজ, লক্ষী কান্ত রায়, শহীদুল্লাহ ও কেএম এনায়েত হোসেন, এএসআই আতোয়ার রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, পুলিশের সোর্স খোকন ও সুমন।
বাদিনী মামলায় উল্লেখ করেন, তার স্বামী ফরমান উল্লাহ খান পেশায় সাংবাদিক। তিনি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের বিভিন্ন অপকর্মের ফিরিস্তি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে মে-জুন মাসে পৃথক তিনটি আবেদন করেন।
বাদিনীর অভিযোগ, আবেদনের কথা জানতে পেরে আসামিরা ফরমানকে ফাঁদে ফেলার কৌশল খুঁজতে থাকেন। গত ২১ জুন আসামিরা অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে মারধর করে ফরমানের হাত-পা ভেঙে দেন। বাদিনী তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে বললে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত তিনি আসামিদের ২ লাখ টাকা দেন।
২২ জুন বাদিনী থানায় তার স্বামীর খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতিত হওয়ার বিচার চেয়ে তিনি আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে পুলিশের ডিসি (প্রসিকিউশন) আনিসুর রহমান বাদিনীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাদিনীর স্বামী একজন মাদক ব্যবসায়ী। মামলা থেকে বাঁচতেই আসামি তার স্ত্রীকে দিয়ে এ মামলা করিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
এমআই/এএসআর