জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) ও ঢাকার সহকারী কমিশনারকে (রাজস্ব) আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অমিত দাশ গুপ্ত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
পরে অমিত দাশ গুপ্ত জানান, আদালত সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন।
রুলে মায়া কাটারা মার্কেট ব্যবসায়ীদের রক্ষায় কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, মায়া কাটারা মার্কেটের সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ডিএমপি কমিশনার, ঢাকার সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) ও কোতোয়ালী থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সরকারি মার্কেট দখলে বেসরকারি সাইনবোর্ড’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে আব্দুল আজিজ নামে এক সাংবাদিক হাইকোর্টে রিট করেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় হাজার কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্র। ওই সম্পত্তিতে মায়া কাটারা মার্কেট নামে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজের একটি পাইকারি মার্কেট রয়েছে। সেখানে দোকানের সংখ্যা প্রায় তিনশ'। চক্রের সদস্যরা দোকানিদের জানিয়েছে, মার্কেটের মূল মালিক সাফায়াত গং মার্কেটটি বিক্রি করে দিয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী শাজাহান সিরাজ জুয়েলসহ কয়েকজন সেটি কিনেছেন। তারা এখন বহুতল শপিং কমপ্লেক্স তৈরি করবেন। নতুন মার্কেট তৈরি হলে দোকানিরা আকার অনুযায়ী তাদের দোকান বুঝে পাবেন। এরই মধ্যে মার্কেটের ওপরে বায়নাসূত্রে মালিকানার বিশাল সাইনবোর্ডও টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় দোকানিরা পড়েছেন মহাবিপাকে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এ মার্কেটটি আসলে কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সরকারি সম্পত্তি। সরকারি সম্পত্তিতেই টানানো হয়েছে দখলের সাইনবোর্ড। সাধারণ ব্যবসায়ীরা সেখানে বেশ আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। এ নিয়ে কোনো কথা বলতে গেলে তাদের গুম-খুনেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯,২০১৭
ইএস/এসএইচ