এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২০ নভেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস।
পরে নির্মল কুমার দাস বলেন, আদালত একজনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং বাকি দু’জনের দণ্ড বহাল রেখেছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছোট ভাইয়ের নাম মাহমুদ শেখ (২৫)। আর হত্যাকাণ্ডের শিকার তার বড় ভাই এসকেন্দার শেখ। দু’জন চিতলমারী উপজেলার হাজারী গ্রামের মোজ্জাম শেখের ছেলে।
২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে ঘরের সিঁদ কেটে শয়নকক্ষে ঢুকে এসকেন্দারকে জবাই করে হত্যা করা হয়। মাহমুদ শেখ ও এসকেন্দারের স্ত্রী পারভীন খাতুন (২৯) তাদের পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
পরদিন ২৪ অক্টোবর নিহতের বাবা মোজ্জাম শেখ বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
২০১১ সালের ২৮ জুলাই বাগেরহাটের অতিরিক্তি জেলা দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম আসামিদের মধ্যে মাহমুদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং এসকেন্দারের স্ত্রী পারভীন খাতুন ও অপর আসামি আসাদ দালুকদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
পরে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
ইএস/এইচএ/