মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি বলেছিলাম এ মাসের মধ্যে অর্থাৎ নভেম্বরের মধ্যে রিভিউ করবো, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে নভেম্বরের মধ্যে করতে পারবো না।
তিনি বলেন, ‘যে গ্রাউণ্ডে (যুক্তিতে) রিভিউ করা হবে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করেছি। এখন গ্রাউণ্ডগুলো ঘষামাজা করছি। নানা রকমভাবে এগুলোকে রিফাইন করা। এগুলোই আমাদের কাজ। তবে নভেম্বরের মধ্যে হচ্ছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, রিভিউ এখন ফাইল করলেই তো আর লাভ হবে না। মূল আবেদনটি শুনেছিলো সাতজন (আপিল বিভাগের সাত বিচারপতি)। এখন আমাদের বিচারকের সংখ্যা পাঁচ। রিভিউ নরমাল নিয়ম হলো যেই কয়জন মূল মামলাটা শুনেছেন, ততো সংখ্যক বা তার থেকে বেশি সংখ্যক বিচারপতি রিভিউ শুনানি করে পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন। কিন্তু শুনানি হোক বা না হোক আমাদের সময় মতো ফাইল করতে হবে। যেহেতু আমাদের হাতে এখনও ২৭দিন সময় আছে। এর ভেতরেই আমরা ফাইল করবো। আমি মনে করি এটা পুনর্বিবেচনা করা একান্ত দরকার।
৭৯৯ পৃষ্ঠার রায়ের বৃহৎ পরিসরে পর্যালোচনা করছেন অ্যাটর্নি জেনারেলের গঠিত একটি টিম। ১৫ অক্টোবর থেকে ওই টিম প্রতি কার্যদিবসে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পর্যালোচনা করে আসছিলেন।
গত ০১ আগস্ট সকালে ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়।
গত ০৩ জুলাই ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত রায়টি দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলও খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
ফলে মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হয়ে যায়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়েছিল।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন, ‘এ রায়ের বিষয়ে পড়া হচ্ছে। ভালোভাবে পড়ে, পরীক্ষা করে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন জানানো হবে। এজন্য সময় লাগছে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
ইএস/এসএইচ