সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি রুল জারি করলেও অপর বিচারপতি রিট খারিজ করে দেন।
গত বছরের এপ্রিলে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট আবেদনটি করেন।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না। ’
রিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আদেশের পর ড. ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ৭০ অনুচ্ছেদকে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেছেন। বিশেষ করে তিনি কেন রুল দিয়েছেন সে বিষয়টি তিনি তার আদেশে বলেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায়ে ৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে যা বলেছেন তা গ্রহণ করেই তিনি আজ রুল জারি করেছেন। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছেন (ষোড়শ সংশোধনী) সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনুচ্ছেদ ৭০ আর থাকতে পারে না।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী আদেশে বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ইতোপূর্বে ষোড়শ সংশোধনীর মামলায় হাইকোর্ট বলেছেন, সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বা পার্টি প্রধানের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগ নাই। ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্যরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে আপিল বিভাগ এ অভিমত বহাল রেখেছেন।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তার আদেশে বলেন, আদালত আইন প্রণয়ন করতে পারে না। আইন প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার নেই। সংসদ প্রণীত আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্যই আদালতের সৃষ্টি। বিচার বিভাগকে তার নিজস্ব সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। এজন্যই রিটটি খারিজ করা হলো।
***নিউ মার্কেটের ভেতর পার্কিংয়ে নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
ইএস/এএ