সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদের কথা মনে করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত কারণে অভিযুক্ত হয়ে কারো দুই বছরের বেশি সাজা হলে, সাজা খাটার পরবর্তী পাঁচ বছর তিনি নির্বোচনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, তবে নিম্ন আদালতে সাজা হওয়ার পর হাইকোর্টে আপিল করে যদি জামিন ও সাজা স্থগিতাদেশ পায় তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ আপিল বিভাগে যদি সাজা বহাল থাকে তাহলে নির্বাচিত হলেও সংসদ সদস্য পদে অযোগ্য হয়ে যাবেন।
সংবিধানের পঞ্চম ভাগে ‘সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা’ সংক্রান্ত ৬৬ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, এবং (ঘ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;’
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ আসামি মোট ছয়জন। বিচারিক কার্যক্রম শেষে এ মামলার রায় ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
ইএস/এএ