ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খালেদার পর এবার জামিন চাইলেন কাজী কামাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
খালেদার পর এবার জামিন চাইলেন কাজী কামাল

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বহালের পর এবার আবেদন করেছেন দণ্ডিত আরেক আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার (২৩ মে) তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

কাজী কামালের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করতে পারেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।  

এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের মধ্যে কারাবন্দি তিনজনেরই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। বাকী তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।

আদালত এই তিন আসামির আপিল শুনানি এবং খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে জারি করা রুলের শুনানি একইসঙ্গে নিবেন।

খালেদা জিয়া ছাড়া বাকী দু’জন হলেন, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

পলাতক তিনজন হলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

মামলায় উচ্চ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাংলানিউজকে বলেন, এই মামলায় দণ্ডিত ছয় আসামির মধ্যে তিন জন কারাবন্দি। বাকীরা পলাতক। ইতিমধ্যে কারাবন্দি তিন জনেরই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া দুদকের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে একটি রিভিশন আবেদন করা হয়েছিলো। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।

এখন খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে বাকী দুই আসামির আপিল এবং দুদকের রিভিশনের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানি এক সঙ্গে হবে বলে ‍জানান দুদকের এই কৌঁসুলি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন।

এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

এদিকে খালেদা জিয়া আপিলের পর জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করে। কিন্তু আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।