ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এক মামলায় খালেদার জামিন শুনানি সম্পন্ন

স্পেশাল করেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এক মামলায় খালেদার জামিন শুনানি সম্পন্ন

ঢাকা: কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আর নড়াইলের মানহানি ও কুমিল্লার বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলার জামিন আবেদন রোববারের (২৮ মে)  কার্যতালিকায় রেখেছেন হাইকোর্ট। 

বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। সাংবাদিকদের এতথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।

 

তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেছেন, শুনানি শেষ হওয়া মামলাসহ বাকি দু’টির জামিন আবেদনের ওপরও আদালত রোববার আদেশ দেবেন।  

গত তিনদিনের শুনানিতে আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।  

আর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ছাড়াও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ, এ কে এম দাউদউর রহমান মিনা রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।  

এর আগে গত ২০ মে কুমিল্লার দু’টি ও নড়াইলের একটি মামলায় জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ২১ মে ওই কোর্টের কার্যতালিকায় দু’টি আবেদন ওঠে। এ দুই আবেদন শুনানির জন্য ডাকার পর অ্যাটর্নি জেনারেল প্রস্তুতির জন্য সময় চান।  

আদালত দুই আবেদনের শুনানির জন্য ২২ মে আড়াইটায় সময় নির্ধারণ করেন। কিন্তু ওইদিন এক মামলায় খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের শুনানি অসমাপ্ত থাকার পর তা বুধবার (২৩ মে) পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।  

এরপর ওইদিনের শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। বৃহস্পতিবার এ আবেদনের শুনানি শেষ হয়।  

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় করাগারে।
 
ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। যেটি গত ১৭ মে বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
কিন্তু তার আইনজীবীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্তত আরও ছয়টি মামলা রয়েছে; যেগুলোতে জামিন পেলেই কেবল তিনি মুক্তি পেতে পারেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি ও নড়াইলে একটি। বাকিগুলো ঢাকার।

এর আগে গত ২০ মে সকালে ছয়টির মধ্যে তিনটি মামলার জামিন আবেদনের হলফনামা করতে হাইকোর্ট বেঞ্চের অনুমতি নেন তারা। এরপর সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় আইকন পরিবহনের একটি বাসের কয়েকজন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন আরও ২০ জন। সেসব ঘটনায় দু’টি মামলা করা হয়।
 
এসব মামলায় কুমিল্লার আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ৭ জুন দিন নির্ধারিত রয়েছে। পরে এ তারিখ এগিয়ে আনতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।  
 
অপরদিকে নড়াইলের মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।  

এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারেও বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। তার এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়।
 
২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নামে এক ব্যক্তি এ সংক্রান্ত খবর পড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মানহানির মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় ৮ মে খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেন নড়াইল সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
ইএস/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।