সোমবার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মো. জুয়েল রানা এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় চার্জশিটে মোট ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নাসির উদ্দিন বিটল (৪০), অকু মিয়ার ছেলে ছফুন (৩৪), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে খোকন মিয়া (৩২)।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, আলমাস ব্যাপারীর ছেলে ছালেহ আহমেদ ছালাত (৩৮), হাসান কবির মেম্বার (৫৪), আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল আজিজ ওরফে দাঁড়িওয়ালা আজিজ (৩৯), সুজন মিয়ার ছেলে মিজান (৩৫)। এদের মধ্যে সবাই কারাগারে থাকলেও হাসান কবির মেম্বার পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন আদালতের স্পেশাল পিপি রাকিবউদ্দিন আহমেদ রাকিব।
তিনি জানান, আসামিদের জবানবন্দি, সাক্ষীদের দীর্ঘ জেরা শেষে আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে খালাস দিয়েছেন।
এর আগে ২০০৮ সালের ১২ মার্চ রাতে মামলার বাদী রাজা মিয়ার মেয়ে গার্মেন্টসকর্মী আসমা ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বন্দরের কুশিয়ারা ভদ্রাসন শরবতের বাড়ির সামনে এলে আসামিরা আসমাকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেন। পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দেয়। এ ঘটনায় আসামি খোকন ’৮ সালের ১১ জুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ও আসামিদের নাম উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এএটি