রোববার (৮ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, প্রসব ব্যথা নিয়ে চিকিৎসার জন্য এলে গত ৯ মে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন ও নার্স ছায়া চৌধুরী মরিয়ম বেগমকে চিকিৎসা না দিয়ে বের করে দেন।
পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে সন্তান প্রসব করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নবজাতকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনাটি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পায়।
প্রকাশিত ওই সব প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইডটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র পক্ষে রিট করেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী।
গত ১১ জুন আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সিনিয়র নার্স ছায়া চৌধুরীকে তলব করেন।
তলবে হাজির হয়ে রোববার ওই চিকিৎসক ও নার্স আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দাখিল করেন।
তিনি আরও জানান, ওই ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন, লোহাগড়ার নির্বাহী কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের একজন অধ্যাপককে নিয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ পাঁচ সদস্যের কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি তদন্তকালে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়েছে।
আদালত আগামী ২৫ জুলাই এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেবেন বলেও জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
ইএস/আরবি/