ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এসবি ইন্সপেক্টর মামুন হত্যায় তিনজনের স্বীকারোক্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এসবি ইন্সপেক্টর মামুন হত্যায় তিনজনের স্বীকারোক্তি

ঢাকা: পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতারকৃত তিন আসামি। অপর এক আসামি সুরাইয়া আক্তার কেয়াকে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন- ফারিয়া বিনতে মিম ওরফে মাইশা, মিজানুর রহমান ও মেহেরুন নেসা স্বর্ণা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর শেখ মাহবুবুর রহমান চার আসামিকে আদালতে হাজির করে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

অপর আসামি সুরাইয়া আক্তার কেয়া জবানবন্দি না দেওয়ায় তাকে সাত দিনের রিমান্ড চান তিনি।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের আদালতে ফারিয়া বিনতে মিম ওরফে মাইশা, ম্যাজিস্ট্রেট জিয়ারুল ইসলামের আদালতে মিজানুর রহমান ও ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে মেহেরুন নেসা স্বর্ণা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।  

জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

সুরাইয়া আক্তার কেয়াকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম।

১৮ জুলাই দিনগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে রহমত উল্লাহ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

গত ৮ জুলাই রাত ৮টায় বনানীর একটি অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলার রুমে ভিকটিম মামুন ইমরান খানকে ডেকে এনে মারধর করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১০ জুলাই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন উলখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশের বাঁশের ঝোপের মধ্যে মামুন ইমরান খানের মরদেহ পাওয়া যায়।  

ওই ঘটনায় ১০ জুলাই নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন।

জড়িতদের গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, মামুন ইমরান খান টেলিভিশনের বিভিন্ন ক্রাইম সিরিয়ালেও অভিনয় করতেন। গত ৮ জুলাই রহমতউল্লাকে তার বাসায় জন্মদিনের দাওয়াত দেন আসামি আফরিন।

রহমতউল্লাহ ওই অনুষ্ঠানে পুলিশ বন্ধু মামুনকেও যাওয়ার অনুরোধ করেন। আর সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েই খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।

এরপর তার মরদেহ গুম করতে বস্তায় ভরে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কালীগঞ্জের জঙ্গলে পেট্রোল দিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলেন।  

১০ জুলাই বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে রহমতউল্লাহকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী বুধবার তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

মামুন ইমরান খানের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকুপা এলাকায়। তিনি ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে কাজে যোগ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এমআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।