রোববার (২২ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল মহসীনের আদালতে পিন্টুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে ১৯ জুলাই স্বপন হত্যা মামলায় আসামি পিন্টুর বান্ধবী রত্না রানি কর্মকার ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বপন হত্যার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন।
প্রবীর ও স্বপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।
তিনি জানান, রোববার আদালতে স্বপনকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়ার স্বীকারোক্তি দেন পিন্টু দেবনাথ।
এর আগে গত ১৪ জুলাই স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষকেও ৭ টুকরো করে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক পিন্টু দেবনাথ।
তিনি বলেন, ২০ জুলাই শীতলক্ষ্যায় তল্লাশীও চালিয়ে স্বপনের মরদেহ পাওয়া যায়নি।
আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে পিন্টু জানান, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর বাজারের একটি ভবনের ২য় তলায় তার প্রেমিকা রত্নাকে দিয়ে স্বপনকে ডেকে নেন তিনি। এরপর ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে রাখা জুস স্বপনকে পান করায় রত্না। স্বপন ঘুমিয়ে পড়লে তার মাথায় আঘাত করেন পিন্টু। বাথরুমে নিয়ে বটি দিয়ে মরদেহ ৭ টুকরো করেন। পরে বাজারের ব্যাগে করে মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেন পিন্টু।
মৃত স্বপন নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ কাচারীগলি এলাকার মৃত সোনাতন চন্দ্র সাহার ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এএইচ/এএটি