বুধবার (২৫ জুলাই) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো.শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
আদালতে তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।
২০১৩ সালের ৯ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াতের তিন নেতাকে দণ্ড দেন।
এর মধ্যে জামায়াতের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, তৎকালীন এমপি হামিদুর রহমান আযাদের তিন মাস ও তিন হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। অনাদায়ে আরো দুই সপ্তাহ কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাদের।
অপর নেতা সেলিম উদ্দিনকে ট্রাইব্যুনাল চলাকালে পুরো সময় সেখানে হাজির থাকা (কারাদণ্ড) ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ওইদিন ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর বা তাদের আত্মসমর্পণের পর থেকে সাজা কার্যকর হবে।
২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে এক সমাবেশে জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন ও হামিদুর রহমান আযাদ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে অমর্যাদাকর ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। একই দিন রফিকুল ইসলাম খান এক বিবৃতি দিয়েছেন।
তাদের ওইসব বক্তব্য একাধিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল ৭ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেছিলেন। কিন্তু এই তিন নেতার কেউ-ই ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে রুলের জবাব না দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল ৬ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরে সেলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫,২০১৮
ইএস/এমএ