এ মামলার এক আসামি শিশু হওয়ায় তার বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে আইনগত প্রশ্ন ওঠায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনে প্রধান বিচারপতির কাছে নথি পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৯ জুলাই) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এএস এম আব্দুল মবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় না দিয়ে এ আদেশ দেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল।
তিনি জানান, এ মামলায় বিচারিক আদালতে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুই আসামির যাবজ্জীবন এবং এক শিশু আসামির ১০ বছরের সাজা হয়। শিশু আসামির বিচারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালতে হতে পারে কিনা তা নিয়ে আইনগত প্রশ্ন উঠেছে। এখন এটি নিষ্পত্তির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনে মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের পরে আইনগত বিষয়টির ওপর শুনানি হবে।
এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সৈকতকে (৭) হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. সিদ্দিকুর রহমান নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানায় ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর এ মামলায় প্রধান আসামি নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র অলি আহম্মদকে (২২) মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪।
এছাড়া পলাতক আসামি সবুজ মিয়া ও তাপসবন্ধু সাহাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। তবে মামলার আরেক আসামি শিশু আনিছ মিয়াকে দশ বছরের সাজা দেন একই আদালত।
পরে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি অলি জেল আপিল এবং আনিছ মিয়াও আপিল করেন। এসব বিষয়ে শুনানি শেষে রোববার রায়ের জন্য ধার্য ছিল বলে জানান মনিরুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
ইএস/এএ