মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এখন তাকে দেওয়া আগাম জামিন আর থাকছে না।
গত ১০ জুলাই এ রুলের শুনানি শেষে খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, উনার (বিচারপতি জয়নুল আবেদীন) বিরুদ্ধে রেগুলার কোনো মামলা নেই। মামলা না থাকলে জামিন কিভাবে হয়।
ওইদিন এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেছিলেন, গত বছরের ১০ জুলাই হাইকোর্ট বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে আগাম জামিন দিয়ে রুল জারি করেছেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলো। আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। সে অনুসারে রুল শুনানি শেষ হয়।
২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে নোটিস দেয় দুদক। পরে দুদকের দেওয়া নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি একই সালের ২৫ জুলাই হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেছিলেন। যে রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে যায়।
পরে ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর তাকে আরও একটি নোটিশ দেয় দুদক। ৩ নভেম্বর তিনি এ বিষয়ে তথ্য জমা দেন। দীর্ঘদিন পরে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার কাছে ব্যাখ্যা চায় দুদক। পরে তিনি ব্যাখ্যা দেন। এরপর ওই বছরের জুনে একটি পত্রিকায় ওই বিচারপতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার ও হয়রানির আশঙ্কা থেকে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
২০১৭ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট তাকে এ অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন এবং রুল জারি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১,২০১৮
ইএস/আরআর