মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ এ রায় দেন। তবে রায়ের সময় আসামিরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শহরের মীরপাড়া হাফরাস্তা এলাকার রহিমের ছেলে সোহেল, সাইফুল ইসলাম বাবুর ছেলে ডলার, মো. চাঁদের ছেলে টিটু ও তারেক এবং আব্দুর রহিমের ছেলে মাসুদ।
এদের মধ্যে তারেককে এক বছর সাত মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং বাকি চারজনকে পাঁচ বছর সাত মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার করে জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযুক্তরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
নাটোর জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রফিকুল ইসলাম দুদু এতথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে তৎকালীন জেলা যুবলীগ সাধারণ শফিকুল ইসলাম শিমুল একটি মামলায় জামিন নিয়ে নাটোর আদালত চত্বর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ভবানীগঞ্জ মোড় এলাকায় পৌঁছালে ডলার, টিটু, তারেক, মাসুদ, সোহেলসহ ১০/১২ জন তার ওপর অর্তকিত হামলা চালান। এ সময় তারা হত্যার উদ্দেশে শিমুলকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করেন। এতে তিনি অল্পের জন্য বেঁচে যান। পরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান।
শিমুলকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় শিমুলের বাবা হাসান আলী সরদার বাদি হয়ে ১১ জনকে আসামি করে ঘটনার দু’দিন পর ৩ মার্চ নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলার রহমান তদন্ত শেষে এই পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৬ সালের ১২ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দেন। ওই মামলাটির দীর্ঘ শুনানি ও ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক মঙ্গলবার এ রায় দেন।
মামলায় বাদি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন তিনিসহ অ্যাডভোকেট আঞ্জুয়ারা রত্না। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার টগর ও অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এসআরএস